শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সময় সংবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ডিউটি অফিসার।
তিনি জানিয়েছেন, বংশালের কসাইতলীতে এক পাঁচ তোলা ভবনের রেলিং ভেঙে পড়লে তিনজন পথচারি নিহত হন।
এর আগে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রতিবেদন লেখা এখন পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভবন হেলা পড়াসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০টা ৩৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ডে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৭। এটি মধ্যম মাত্রার ভূমিকম্প।
ভূমিকম্পের সময় ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।
রাজধানী কালাচাঁদপুরের বাসিন্দা আফরোজা খানম লাকি বলেন, ‘আমাদের বাসা ৭ তলায়। ভূমিকম্পের সঙ্গে সঙ্গে পুরো ভবন দুলতে থাকে। জোরে জোরে শব্দ হতে থাকে। বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো হয়ে যায়। আমরা দৌড়ে নিচে যাওয়া শুরু করলাম, কিছু সময়ের মধ্যে থেমে যায়।’
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দাস বলেন, ‘জুরি কাজে বাসার নিচে যাই। হঠাৎ খেয়াল করি ভূমিকম্প হচ্ছে। এ সময় বৈদ্যুতিক খুঁটি জোরে জোরে ঝাঁকি দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল এখনই তার ছিঁড়ে পড়ে যাবে। বাসার সবাই নিচে নেমে আসে। অনেককে চিৎকারও করতে শোনা যায়।’
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এছাড়া পাকিস্তানেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
