24bangladeshnews.com
ঢাকাসোমবার , ৮ জুলাই ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. সারাদেশ
  10. হ-ব্রেকিং
আজকের সর্বশেষ খবর

ইসলামপুরে কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, মামলার পর পলাতক চার বন্ধু

বার্তা কক্ষ
জুলাই ৮, ২০২৪ ২:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এস এ রকিব ইসলামপুর (জামালপুর) :

ইসলামপুরে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামিরা। ছবি: সংগৃহীত জামালপুরের ইসলামপুরে আবারও এক কিশোরী (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ইসলামপুর পৌর শহরের রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় বেড়াতে গিয়ে একটি কাঠের বাগানে ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। 

এ ঘটনায় গতকাল শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ইসলামপুর থানায় চারজনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন। একইদিন বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন— পৌর শহরের গাওকুড়া দরজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মমিনুলের ছেলে মাহিন রহমান জুবাই (১৮), সোনা আলীর ছেলে বাবু (২৮), সুরুজের ছেলে রাকিব (২০) এবং ভেঙ্গুড়া সর্দারবাড়ী মোড় এলাকার পিন্টুর ছেলে মাহফুজ (২০)। মামলার দায়ের পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছে। আসামিরা একে অপরের বন্ধু। 

স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। বর্তমানে বাড়িতে সাংসারিক কাজকর্মে সহযোগিতা করে। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বসতবাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে রৌহারকান্দা ব্রিজ এলাকায় বেড়াতে যায় ওই কিশোরী। এ সময় আসামি মাহিন রহমান জুবাই বেড়ানোর কথা বলে ওই কিশোরীকে পৌর শহরের একটি কাঠের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি বাবু মোবাইল ফোনে আসামি রাকিব এবং মাহফুজকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসে। 

একপর্যায়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আসামি মাহিন ধাক্কা মেরে ওই কিশোরীকে মাটিতে ফেলে দিয়ে মুখ চেপে ধরে। এরপর বাবু, রাকিব এবং মাহফুজ পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর আসামি বাবু রাত ৯টার দিকে মেয়েটিকে তার বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা গোপন করে ওই কিশোরী। তবে ক্রমেই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে ঘটনার আদ্যোপান্ত পরিবারকে খুলে বলে। 

ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ‘গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত। এর আগে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিরা গণধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে গ্রেপ্তাররা কারাগারে রয়েছে। গণধর্ষণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৯ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের যমুনার দুর্গম অঞ্চলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬)। ঘটনার ১৫ দিন পর ৫ মে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নামোল্লেখপূর্বক ইসলামপুর থানায় মামলা করেন। এরপর প্রধান আসামি সাদিক (২৪), সহযোগী আসামি শিপন (১৯), ইব্রাহিম (২৫) এবং ইউসুফ আলীকে (২০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি