শেখ শাকিল হাসান (ইসলামপুর উপজেলা) প্রতিনিধিঃ
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বেকু (এক্সকাভেটর) ও মাহিন্দ্র ট্রাক ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বীর উত্তম খালিদ মোশারফ সেতু। সেতুটির মেইন খুঁটির একেবারে নিচ থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বালি কেটে নেওয়া হচ্ছে, যা সেতুর স্থায়িত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী একটি চক্র দিনের আলো ও রাতের অন্ধকারে বেকু দিয়ে বালি উত্তোলন করছে। পরে সেই বালি মাহিন্দ্র ট্রাকযোগে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং সেতুর খুঁটির ভিত্তি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর আশপাশের এলাকায় একের পর এক মাহিন্দ্র ট্রাক বালু বোঝাই করে চলাচল করছে। ভারী যান চলাচলের ফলে সেতুর ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলেও আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। অবৈধ হলেও প্রকাশ্যেই চলছে এই বালু উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কার্যক্রম চললেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কোনো নজরদারি নেই। এবং কি এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বালু ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সেতুর পিলারের নিচ থেকে বালি অপসারণ করা হলে পানির স্রোতের ধাক্কা সরাসরি পিলারের ওপর পড়ে, যা যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এ ধরনের অবৈধ বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে ১০৪ কোটি টাকার এই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তবে এলাকাবাসীর দাবি, শুধু আশ্বাস নয়—অবিলম্বে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নিয়মিত অভিযান চালানো জরুরি।
