24bangladeshnews.com
ঢাকাসোমবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন ও আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. রাজনীতি
  9. সারাদেশ
  10. হ-ব্রেকিং
আজকের সর্বশেষ খবর

“স্যার আঙ্গরে স্কুল ফিরিয়ে দিন, পড়বের চাই”

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২৮, ২০২৫ ৯:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

“স্যার আন্নেরা আঙ্গরে স্কুল আঙ্গরে ফিরিয়ে দিন। যমুনা নদী ভাঙনের সময় আঙ্গরে স্কুল দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামে নিয়া গেছে। সেখানে তিনটা স্কুল আছে। আঙ্গরে বাড়ির কাছে এহন স্কুল নাই। আমরা স্কুলের অভাবে পড়বের পাইতেছি না। আমরা পড়বের চাই।” সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি জানিয়েছে ইসলামপুরের সাপধরী ইউনিয়নের উত্তর জোরডোবা গ্রামের তিন শতাধিক কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের উত্তর জোরডোবা গ্রামটি আজ থেকে বিশ বছর আগে যমুনা নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। সে সময় যমুনাগর্ভে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায় গ্রামটি। ওই সময় উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পার্শবর্তী দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২০ বছরের ভাঙাগড়ার একপর্যায়ে যমুনার বুকে জেগে উঠে নতুন চর। ওই চরেই উত্তর জোরডোবা এলাকাটি সমস্ত ভূমি আবারও বিশ বছর পূর্বের অবস্থা ফিরে পায়। আবার শুরু হয়েছে নতুন করে বসতিভিটা স্থাপন ও ফসল উৎপাদন।

ইতিমধ্যে উত্তর জোড়ডোবা গ্রামে পাঁচ শতাধিক বসতভিটা গড়ে উঠেছে। তবে এই গ্রামের তিন শতাধিক শিশুদের লেখাপড়ার জন্য নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে তিন শতাধিক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এই কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে এলাকাবাসী তাদের পুরনো বিদ্যালয়টি আবারও উত্তর জোরডোবা গ্রামে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেন।
উত্তর জোরডোবা গ্রামে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন।

এলাবাসীর দাবির মুখে ২৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘরটির বর্তমান ও সাবেক অবস্থানের এলাকা দুটি পরিদর্শন করেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন। এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি কান্দারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান চৌধুরী, কুমিরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজম আলী ও উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম শামীম।

২৮ এপ্রিল দুপুরে বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় স্থানীয় জনতা উত্তর জোরডোবা গ্রামে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করেন। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী সমাজসেবক নায়েব আলী নবাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মন্ডল, সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও সাপধরী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. মুসলিম উদ্দিন আকন্দ, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

এলাকাবাসীর দাবির মুখে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, উত্তর জোরডোবা গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরেপড়া রোধের জন্য উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রাম থেকে স্থানান্তর করে আবারও উত্তর জোরডোবা গ্রামে পুন:স্থাপনের আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি