লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদে ও ঢাকা জজকোর্টের মামলা তুলে না নেয়ায় আসামীগন বাদীকে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে প্রায় দু”শত বা তিনশত গজ দূরে হাসন্দী গ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নার্গিস আক্তার জানান, প্রায় দেড় বছর আগে আমার স্বামী আরিফ হোসেনকে আমার আত্মীয় স্বজন থেকে হাওলাত করে টাকা নিয়ে দিয়েছি। সেই ব্যবসা করে আত্মীয় স্বজনদের টাকা দিয়ে দিবে, কিন্তু টাকা না দিয়ে আমাকে মারধর করে। এর পরে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইসমাইলকে দিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। এ ঘটনায় আমি ঢাকা জজকোর্টে ন্যায় বিচারের জন্য মামলা করি। বেশ কয়েক মাস পরে আমার স্বামীর বাড়ির এলাকার ইসমাইলসহ কিছু লোক বলছে। গ্রাম্যআদালতে চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করার জন্য । তখন আমরা তোমার যেই সমস্যা, তা আমরা সমাধান করে দিবো।
এর পরে আমি পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ করি। যখনই চেয়ারম্যান বসার তারিখ দিয়েছে, তখন ইসমাইল আর আসেনি। পরে চেয়ারম্যান সাহেবসহ স্হানীয়রা আমার কাগজপত্র দেখে ও দুই পক্ষের কথা শুনে প্রমাণিত হয়, আমি টাকা পাওয়াটা সঠিক। তখন চেয়ারম্যান সাহেব তাকে সময় দিয়েছে আমার টাকা দেওয়ার জন্য, কিন্তু আরিফ হোসেন টাকা না দিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তখন চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগেও ইসমাইল আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছে, আমি দিতে পারি নাই তাই আমাকে ঐ বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়েছে তাহারা।
পরে আমি চেয়ারম্যান সাহেব থেকে কাগজ নিয়ে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার জন্য সিএনজি উঠে যাচ্ছি, প্রায় দুইশত গজ দূরে আসলে আমার শশুর শাহাবুদ্দিন সিএনজি দাঁড় করে আমাকে বলে মা তুমি নামো তোমার সাথে কথা বলবো,তখন আমি মনে মনে ভাবছি আমার’তো বাবা নাই, তিনি’তো আমার বাবা। এটা মনে করে আমি সিএনজি থেকে নেমেছি। তখন আমার শশুর সিএনজি ড্রাইভারকে বলে, ড্রাইভার আপনি চলে যান। সিএনজি চলে গেল,যখন সিএনজি প্রায় অনেক দূরে চলে গেল,তখন দেখি ইসমাইল সুপারির বাগিচা থেকে এসে আমার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এমনই সময় দেখি আরিফসহ ৪/৫ জন দৌড়ে এসে আমাকে মারধর,গলা চেপে ধরে ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎ করে একটি গাড়ি লাইটের আলো দেখে তারা পালিয়ে যায়, আমার গলায় থাকা আট আনা ওজনের চেইনের কথাও ভাবিনি, কারণ আমার জীবন বাঁচাতে হবে। তখন আমি পাকা রাস্তার পাশে পড়ে যায় পরে বাঁচার জন্য হাত দিয়ে ইশারায় দিলে সিএনজি দাঁড়ায়। তখন ড্রাইভার আমাকে ধরে সিএনজিতে উঠিয়েছে, কে যেন বলছে এরে হাসপাতালে নিয়ে যান। আর কিছু বলতে পারবো না। হাসপাতালে আসার পরে আমি লোক একজনকে দিয়ে আমার বোনকে ফোন করাই, পরে আমার ভাগিনা আসে।
বর্তমানে আমি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি, আমার মা-বাবা নাই, আমার কি অপরাধ ছিল? তারা আমাকে কেন হত্যা করার চেষ্টায় করেছে? ন্যায় বিচার চাওয়া কি আমার অপরাধ? আদালতে মামলা দেওয়া কি আমার অপরাধ? তাহলে কি বিচার পাবো না? আমাকে কি তারা বাঁচতে দিবে না?
অভিযুক্ত বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি ইসমাইলকে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন জানান, আমি সিএনজিকে দাঁড় কথা বলতেছি, আমরা এমন বেশি মারিনি,যাহা করেছে আরিফ আর ইসমাইল।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আমি ছুটিতে আছি তারপরেও এ ধরনের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।