জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারির সময় ভাবনা আক্তার (২২)নামে এক প্রসূতি নারীর মৃত্যু হয়েছে।
গতরাত সাড়ে ১২ টার দিকে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ।
ওই প্রসূতি মেলান্দহ পৌরসভার পশ্চিম জালালপুর এলাকার ইব্রাহীমের স্ত্রী।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ,প্রসূতি ভাবনা আক্তার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দায়িত্বরত নার্স নারগিস বেগম তাকে ডেলিভারি ওটিতে নিয়ে ডেলিভারি করানোর চেষ্টা করেন। এসময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্ব চিকিৎসক ডা. ফারহানা হাসপাতালে অনুপস্থিত ছিলেন। রোগীর মৃত্যুর পর ডা. ফারহানা ও মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গাজী রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসেন। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে।
নিহতের স্বামী ইব্রাহীম জানান,ওটিতে নেওয়ার পর আমার স্ত্রী পানি খেতে চেয়েছিলো,কিন্তু পানি খেতে দেয়নি।ছটফট করলেও বৈদ্যুতিক পাখা বন্ধ রেখে ডেলিবারির চেষ্টা করেছে।তাদের অবহেলায় মারা গেছে।আমি দায়ীদের
বিচার চাচ্ছি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ডাঃ ফারহানার বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযুক্ত নার্স নারগিস বেগমের মুঠোফোনেও যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাইফুন্নাহার সানি জানান, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।আমি তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব। তদন্তে সত্যতা মিললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনও অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’