আরেফিন সুমনঃ
ইসলামপুরে লাইসেন্সবিহীন একটি কফি শপের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগের প্রমাণ মেলেছে। ঐ কফি শপের নাম শান্ত নীড় যমুনা কপি হাউস। সেখানে হরহামেশায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে অশ্লীল অপকর্ম। উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা কফি শপের আড়ালে যতসব অপকর্মে মেতে উঠেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শান্ত নীড় যমুনা কফি শপে খাবারের আড়ালে এমন নোংরামি চলে।
এছাড়াও ঐ কপি শপের মালিক ফরিদের উপস্থিততে নেশাজাতীয় দ্রব্য যেমন গাঁজা-ইয়াবা হরহামেশায় সেবন হচ্ছে।
শনিবার (১২জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে, শান্ত নীড় যমুনা কফি শপে তরুণ-তরুণীর মেলামেশার দৃশ্য চোখে পড়ে। তাছাড়াও ঐ কফি শপে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত ইয়াবা সেবনের একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ: উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরা কফি হাউজে এসে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে মেলামেশা করছে। তরুণরা নেশায় জড়িয়ে পড়ে সমাজকে নষ্ট করছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান: অভিভাবকের আড়ালে এসব ছেলে-মেয়েরা সেক্সুয়াল কার্যকলাপ জড়িয়ে পড়ছে যার সেল্টার দিচ্ছে শান্ত নীড় কফি হাউজের মালিক ফরিদ।
জানা যায়, দীর্ঘ ছয় বছর থেকে ফরিদ নামে ঐ ব্যক্তি ক্যাফের আড়ালে এমন নষ্টামি কাজকর্ম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ক্যাফের পাশে পড়ে রয়েছে কনডম,ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি। এতসব প্রমাণ হাতে নাতে ধরা পড়লেও অর্থপিপাসু ঐ ক্যাফের মালিক ফরিদ অকপটে অস্বীকার করেন।
বলেন সাংবাদিকদের আমরা চিনি জানি!
কিছু টাকা দিলেয় আপনাদের ম্যানেজ করা যায়?
সূত্র বলছে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্যাফের আড়ালে এমন যৌন অপকর্ম ও মাদক সেবীদের জায়গা করে দিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল চক্রটি। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অপকর্ম ঘটে থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযান চোখে পড়েনি।
এতসব অভিযোগের সত্যতা মিললেও শান্ত নীড় যমুনা ক্যাফের মালিক ফরিদ এসবের কোন পাত্তা দিচ্ছেন না। হরহামেশায় ক্যাফের আড়ালে উঠতি বয়সী তরুণ -তরুনীদের মেলামেশার জায়গা করে দিয়ে তিনি এখনো ক্যাফটি পরিচালনা করছেন!
সুধীসমাজের দাবী: অনতিবিলম্বে এসব ক্যাফের আড়ালে নষ্টামি ও যুব সমাজকে বাঁচাতে প্রশাসনের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকার আহবান জানান।