সোমবার ২২ সেপ্টেম্বর জামালপুরের ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াল ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে তীরবর্তী মানুষ। গত কয়েক দিনের তীব্র ভাঙনে ১৫টিরও বেশি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হারিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বিঘা আবাদি জমি। ঝুঁকির মুখে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, একমাত্র চলাচলের সড়কসহ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি।
সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান। ভাঙনে সবকিছু হারানো পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর ভয়াবহ ভাঙনে শত শত পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, “স্থায়ী বাঁধ ছাড়া এ ভাঙন রোধ করা যাবে না। আমরা দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ চাই।”
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়ানগঞ্জ শাখার উপ-প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভাঙনে জমি, ঘরবাড়ি ও জীবিকা হারিয়ে তীরবর্তী মানুষ এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ব্রহ্মপুত্রের ভয়াল ছোবলে আরও অনেক গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।