উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন যে পাকিস্তান ও ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা (এনএসএ) নয়াদিল্লির বিনা প্ররোচনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর কথা বলেছেন।
“দুজনের মধ্যে যোগাযোগ হয়েছে, হ্যাঁ,” তিনি টিআরটি ওয়ার্ল্ড কে বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের রাতারাতি হামলার পর এনএসএগুলি যোগাযোগ করেছিল কিনা।
ভারত বুধবার ভোরে পাকিস্তান এবং AJK-তে হামলা শুরু করে – একটি আক্রমণ যাকে ইসলামাবাদ একটি “যুদ্ধের নির্লজ্জ কাজ” বলে অভিহিত করেছে – গত মাসে ভারতীয় অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে (IIOJK) পর্যটকদের উপর একটি মারাত্মক হামলার পর পারমাণবিক সশস্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ইসলামাবাদ জানিয়েছে, মসজিদ থেকে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পর্যন্ত ছয়টি পাকিস্তানি অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
ভারত গত রাতে পাকিস্তানে বিনা প্ররোচনা ও ছলচাতুরী হামলা চালালে শিশুসহ অন্তত ৩১ জন বেসামরিক ব্যক্তি শহীদ এবং ৫৭ জন আহত হয়।
পাল্টা জবাবে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী পাঁচটি ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) জেট, সাতটি ড্রোন, একটি ব্রিগেড সদর দফতর এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট ধ্বংস করে।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের সাথে কথা বলার সময়, দার বলেছেন: “ভারত এমন কিছু করেছে যা ক্ষমার যোগ্য নয়।”
তিনি যোগ করেন, “দেশ সিদ্ধান্ত নেবে কখন এবং কী মোডে এবং ভবিষ্যতে আমরা কী প্রতিক্রিয়া জানাব,” তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেছিলেন যে তুর্কিয়েই প্রথম দেশ যারা ভারতের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে।
“আজ সকালে আক্রমণের পর, যা প্রায় মধ্যরাতের দিকে, প্রায় 1 টার দিকে, আমি প্রথম কলটি পেয়েছি তুরকিয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে,” দার বলেছিলেন।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সাথে টেলিফোনে কথোপকথন করেছেন এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে “আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করার” তুর্কির প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন।
এরদোগান পাকিস্তানের সাথে তুর্কির সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং শহীদদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
এটিকে “খুব সমর্থনমূলক বিবৃতি” ঘোষণা করে, দার বলেন, এরদোগানের কথায় দেখা গেছে তুর্কিয়ে পাকিস্তানের “খুব ঘনিষ্ঠ ভাই” এর মতো।
ভারতের হামলার পরে ব্যক্তিগতভাবে এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মাধ্যমে তার সাথে যোগাযোগ করা প্রথম রাষ্ট্রদূতদের মধ্যে একজন ছিলেন ইসলামাবাদে তুর্কি রাষ্ট্রদূত, দার যোগ করেছেন।
“সুতরাং আপনি আমাদের ভ্রাতৃত্ব, আমাদের বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠতা মূল্যায়ন করতে পারেন,” তিনি যোগ করেছেন।
তুর্কি রাষ্ট্রপতি সংকট সমাধানে পাকিস্তানের “শান্ত ও পরিমাপক পদ্ধতির” প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
একটি পৃথক বিবৃতিতে, তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে যে ভারতের আক্রমণ “সর্বত্র যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছে” এবং এর “উস্কানিমূলক” পদক্ষেপ এবং বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার নিন্দা করেছে।
“আমরা তুর্কিয়ের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব এবং ভ্রাতৃত্বকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করি,” দার যোগ করেন।
তুর্কিয়ে ছাড়াও, অন্যান্য দেশ এবং জাতিসংঘের মতো বহুপাক্ষিক খেলোয়াড়রাও দুই দেশের মধ্যে সামরিক বিরোধের দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
