গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতি বছরের ন্যায় আবারও জমে উঠেছে তিন যুগের এই নববর্ষের বৈশাখী মেলা। যমুনা নদীর পাড়ে যেখানে শুয়ে আছেন কবি হাসান হাফিজুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত তার জন্য ভূমি । এই ঐতিহ্যবাহী মেলায় , কোমাড়দের মাটি দিয়ে হাতে বানানো হাড়ি পাতিল, খেলনা, পুতুল, বাঁশ ও বেতের তৈরির জিনিস।
সেই সাথে মেলায় খেলনা, কাঠের জিনিস, কসমেটিক ও বাসা বাড়ির কাজের জন্য দা,বটি,পাওয়া যায়।
এছাড়াও মেলায় বেচাকেনার জন্য গজা,জিলাপি, সাজ,বাতাসা,ময়াসহ হরেক রকমের মিষ্টির দোকান বসেছে।
শিশুদের বিনোদন দেওয়ার জন্য রয়েছে হরেক রকমের আয়োজন,
বৈশাখী মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, পরিবারের আবদার মেটাতে মেলায় এসেছি। ৩ যুগের এই মেলায় ঘুরতে এসে সেই ছোট বেলার স্মৃতি গুলো মনে পরে গিয়ে হয়েছে অনেকে আবেগ প্রবন যেন তারা ছুটে গেছে ছোটবেলায় স্মৃতিতে।
এমন দৃশ্যটি জামালপুর জেলা ইসলামপুর উপজেলা কুল কান্দি ইউনিয়নে ঐতিহ্যবাহী শামসুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। তিন দিনব্যাপী চলমান তিন যুগের এই মেলায় উপলক্ষে কুলকান্দি ঈদ আমেজের রেশ কাটতে না কাটতেই যুক্ত হয়েছে এই বৈশাখী মেলার আমেজ।এই দুই আনন্দের আমেজে যমুনা নদী ভাঙ্গনে দৃশ্য বেদনা ভুলে কুলকান্দির বাসীর মনের মাঝে যেনো বইছে আনন্দ মাতোয়ার ।
এদিকে মেলায় বেচা বিক্রিতে খুশি বিক্রেতা, তারা বলেন প্রথম দিন থেকেই বেচাকেনা ভালই হচ্ছে পড়ে আরো জমজমাট হলে বাড়বে গত বছরের চেয়ে এবার আরও ভালো বিক্রি হবে এই মেলায়।
মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অনুষ্ঠানে উদ্বোধক কমিউনিস্ট পার্টি সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল খান বলেন, তার কাছ থেকে মেলার ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলা ১৪০১খ্রিষ্টাব্দ ইংরেজি ১৯৯৬ সাল থেকে এই মেলায় পরিচালিত হয়ে আসছে।
বৈশাখী মেলার প্রধান অতিথি শরিফুল ইসলাম ফরহাদ খাঁন উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শেষে তিনি বলেন, এই মেলাটা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে এই মেলাটার প্রধান উদ্যোক্তা আমার শ্রদ্ধেয় ভজন মুরুব্বী, এই মেলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে তাদের পরিবার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
প্রধান অতিথির দাবি এই মেলাটা সামনের দিনে আরো বড় পরিসরে ভাবে মেলা করা জন্য জনগণকে আশ্বস্ত করেন।
এবারের মেলায় ছোটবড় প্রায় শতাধিক স্টল রয়েছে।